মাটির পন্য হলো একটা শখের ও ভালোলাগার পন্য। অনেক আগে থেকেই আমাদের দেশে এই মাটির পন্য ব্যবহার হয়ে আসছে এর বিশেষ কারন হলো এটা দেখতে সুন্দর,স্বাস্থ্যসম্মত ও দামেও সস্তা ।
পন্যের নামঃ মাটির কাপ ও পিরিচ (প্রতি পিসের দাম )
মাটির পাত্র ব্যাবহারের উপকারিতাঃ
একটি মাটির পাত্রে জল সংরক্ষণ করা জলের প্রাকৃতিক শীতলতাকে সহায়তা করে। মাটির পাত্র শুধু পানিকে ঠান্ডা করতেই নয়, প্রাকৃতিকভাবে বিশুদ্ধ করতেও উপকারী।
আমরা যা খাই তার বেশিরভাগই শরীরে অ্যাসিডিক হয়ে যায় এবং টক্সিন তৈরি করে। কাদামাটি প্রকৃতিতে ক্ষারীয় যা অ্যাসিডিক খাবারের সাথে যোগাযোগ করে এবং পর্যাপ্ত পিএইচ ভারসাম্য প্রদান করে। এর ফলে অ্যাসিডিটি এবং গ্যাস্ট্রিক সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়।
প্রতিদিন মাটির পাত্রের জল পান করা হজমের উন্নতি করতে পারে। পানিতে উপস্থিত খনিজ উপাদানের কারণে এটি হজমশক্তির উন্নতিতেও সাহায্য করে। একটি মাটির পাত্রে জল সংরক্ষণের একটি প্রধান সুবিধা হল এটি বাষ্পীভবনের নীতির মাধ্যমে জলকে প্রাকৃতিক শীতল করতে সহায়তা করে।
পন্যের সাইজঃ
যেহেতু মাটির পণ্য হাতে বানানো হয় তাই সবসময় সাইজ সঠিক রেখে পন্য তৈরি করা সম্ভব হয়না। ফলে পন্যের সাইজ কিছুটা বড়/ছোট হতে পারে।
পন্যের রংঃ
যেহেতু মাটির পণ্য তৈরি করতে আগুনে পোড়াতে হয় তাই কিছু পণ্য বেশি পোড়া হলে কালো হয়ে যায় আবার কিছু লাল থাকে।
পন্যের ফিনিশিংঃ
আমরা অনেক বেছে বেছে প্রোডাক্ট এর ফিনিশিং দেখে আনি। এরপরও কিছু পণ্যে সামান্য কালার উঠতে পারে বা ফুটো থাকতে পারে।
পোড়ানোর সময় মাটি থেকে অক্সিজেন বের হয়ে বাবল তৈরি হয় ফলে সেখানে ফুটোর সৃষ্টি হয়। তবে এতে করে পন্যের কোন ক্ষতি হয়না বা ব্যবহারে কোনো অসুবিধা হয় না।
ডেলিভারিঃ
আমরা ঢাকার ভিতরে ক্যাশ অন ডেলিভারি দিয়ে থাকি। মাটির পন্য যেহেতু ওজনে বেশি হয় তাই ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান এর ডেলিভারি চার্জও বেশি রাখে। মূলত ডেলিভারি চার্জ স্থান এবং ওজনের উপর নির্ভর করে। তাই ওজনের উপর নির্ভর করে ডেলিভারি চার্জ কমতে বা বাড়তে পারে।
বি দ্রঃ
( ঢাকার ভিতরে যারা ডেলিভারি নিবেন, ডেলিভারি ম্যানের সামনে প্রোডাক্ট খুলে দেখে নিবেন, পরবর্তীতে কোন অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবেনা।)